| 68-1 :  নূন! ভাবো কলম ও যা তারা লেখে।    | 
| 68-2 :  তোমার প্রভুর অনুগ্রহে তুমি কিন্তু পাগল নও।    | 
| 68-3 :  আর তোমার জন্য নিশ্চয়ই রয়েছে এমন এক প্রতিদান যা শেষ হবার নয়।    | 
| 68-4 :  আর নিঃসন্দেহ তুমি সুমহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।    | 
| 68-5 :  ফলে তুমি শীঘ্রই দেখবে এবং তারাও দেখতে পাবে  -  -     | 
| 68-6 :  যে তোমাদের মধ্যে কে বিকারগ্রস্ত।    | 
| 68-7 :  নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু, তিনি ভাল জানেন কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, আর তিনি ভাল জানেন সৎপথপ্রাপ্তদের ।    | 
| 68-8 :  অতএব মিথ্যাচারীদের আজ্ঞাপালন করো না।    | 
| 68-9 :  তারা চায় যে তুমি যদি নমনীয় হও তাহলে তারাও নমনীয় হবে।    | 
| 68-10 :  আর আজ্ঞাপালন করো না প্রত্যেকটি হলফকারীর, লাঞ্ছিতজনের,  -  -     | 
| 68-11 :  পরনিন্দাকারীর, কলঙ্ক রটাতে ঘুরে - বেড়ানো লোকের,  -  -     | 
| 68-12 :  ভালোকাজে নিষেধকারীর, সীমালংঘনকারীর পাপাচারীর,  -  -     | 
| 68-13 :  ষন্ডা - গুন্ডার, তদুপরি অসচ্চরিত্রের,  -  -     | 
| 68-14 :  এইজন্য যে সে ধনসম্পদের এবং সন্তানসন্ততির অধিকারী।    | 
| 68-15 :  যখন তার কাছে আমাদের বাণীসমূহ পাঠ করা হয় সে বলে  -  -  ''সেকেলে কল্পকাহিনী!’’    | 
| 68-16 :  আমরা শীঘ্রই তার উঁচু নাকে দাগ করে দেব।    | 
| 68-17 :  আমরা নিশ্চয়ই তাদের পরীক্ষা করব যেমন আমরা পরীক্ষা করেছিলাম বাগান - মালিকদের, যখন ওরা কসম খেয়েছিল যে তারা নিশ্চয় ভোরবেলা এর ফসল কাটবে,  -  -     | 
| 68-18 :  আর তারা কোনো সংরক্ষণ করে নি।    | 
| 68-19 :  ফলে তোমার প্রভুর কাছ থেকে এক দুর্বিপাক এর উপরে আপতিত হয়েছিল যখন তারা ঘুমিয়ে পড়েছিল।    | 
| 68-20 :  কাজেই সকালবেলায় তা হয়ে গেল এক কালো নিষ্ফলা জমির মতো।    | 
| 68-21 :  তারা কিন্তু সাত - সকালে একে অপরকে ডাকাডাকি করলে  -  -     | 
| 68-22 :  এই বলে  -  -  ''সকাল সকাল তোমাদের খেত - খামারে যাও যদি তোমরা ফসল কাটতে চাও।’’    | 
| 68-23 :  তখন তারা বেরিয়ে পড়ল, আর তারা ফিসফিস করতে থাকল  -  -     | 
| 68-24 :  এই বলে  -  -  ''আজ যেন তোমাদের বিরুদ্ধে কোনো হাভাতে সেখানে ঢুকে না পড়ে।’’    | 
| 68-25 :  আর তারা সকাল সকাল সংকল্পে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে যাত্রা করল।    | 
| 68-26 :  কিন্তু যখন তারা তা দেখল তারা বললে  -  -  ''নিশ্চয় আমরা পথ ভুল করেছি।’’    | 
| 68-27 :  ''না, আমরা বঞ্চিত হয়েছি।’’    | 
| 68-28 :  ওদের মধ্যের শ্রেষ্ঠজন বললে  -  -  ''আমি কি তোমাদের বলি নি, কেন তোমরা জপতপ করছ না?’’    | 
| 68-29 :  তারা বললে  -  -  ''আমাদের প্রভুর মহিমা ঘোষিত হোক, আমরা নিশ্চয় কিছুটা ফসল দান করতে অন্যায় করেছি।’’    | 
| 68-30 :  তারপর তাদের কেউ - কেউ অন্যের কাছে গেল নিজেদের দোষারোপ করতে করতে।    | 
| 68-31 :  তারা বললে  -  -  ''হায়, ধিক্ আমাদের! আমরা নিশ্চয়ই সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলাম।    | 
| 68-32 :  ''হতে পারে আমাদের প্রভু আমাদের জন্য এর চেয়েও ভাল কিছু বদলে দেবেন, নিশ্চয় আমাদের প্রভুর কাছেই আমরা সানুনয় প্রার্থনা করছি।’’    | 
| 68-33 :  এমনটাই শাস্তি হয়ে থাকে। আর পরকালের শাস্তি তো আরো বিরাট,  -  -  যদি তারা জানতো!    | 
| 68-34 :  নিঃসন্দেহ ধর্মভীরুদের জন্য তাদের প্রভুর কাছে রয়েছে আনন্দময় উদ্যান - সমূহ।    | 
| 68-35 :  কী, আমরা কি তবে মুসলিমদের বানাব অপরাধীদের মতো?    | 
| 68-36 :  কি হয়েছে তোমাদের? কিভাবে তোমরা বিচার কর?    | 
| 68-37 :  না কি তোমাদের জন্য কোনো গ্রন্থ রয়েছে যা তোমরা অধ্যয়ন কর  -  -     | 
| 68-38 :  যে, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য তাতে তাই রয়েছে যা তোমরা পছন্দ কর?    | 
| 68-39 :  অথবা, তোমাদের জন্য আমাদের উপরে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকা এমন কোনো অংগীকার রয়েছে কি যে তোমাদের জন্য আলবৎ তাই থাকবে যা তোমরা স্থির করবে?    | 
| 68-40 :  তাদের জিজ্ঞাসা করো  -  -  তাদের মধ্যে কে এ - সন্বন্ধে জামিন হবে;    | 
| 68-41 :  না তাদের জন্য অংশী - দেবতারা আছে? তেমন হলে তাদের অংশী - দেবতাদের তারা নিয়ে আসুক যদি তারা সত্যবাদী হয়।    | 
| 68-42 :  একদিন চরম সংকট দেখা দেবে, আর তাদের ডাকা হবে সিজদা করতে, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না।    | 
| 68-43 :  তাদের দৃষ্টি হবে অবনত, লাঞ্ছনা তাদের জড়িয়ে ফেলবে। অথচ তাদের আহ্বান করা হয়েই থাকত সিজদা করতে যখন তারা ছিল নিরাপদ।    | 
| 68-44 :  অতএব আমাকে এবং যে এই বাণী প্রত্যাখ্যান করে তাকে ছেড়ে দাও। আমরা তাদের ধাপে ধাপে নিয়ে যাব, কেমন করে তা তারা বুঝতেও পারবে না।    | 
| 68-45 :  তথাপি আমি ওদের সহ্য করি। আমার ফাঁদ নিশ্চয়ই বড় মজবুত।    | 
| 68-46 :  অথবা তুমি কি তাদের থেকে কোনো পারিশ্রমিক চাইছ যার ফলে তারা ধারকর্জ করে ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে?    | 
| 68-47 :  অথবা অদৃশ্য কি তাদের কাছে রয়েছে, যার ফলে তারা লিখে রাখে?    | 
| 68-48 :  অতএব তোমার প্রভুর হুকুমের জন্য অধ্যবসায় চালিয়ে যাও, এবং তুমি মাছের সঙ্গীর মতো হয়ো না। দেখো! তিনি বিষাদে কাতর হয়ে ডেকেছিলেন।    | 
| 68-49 :  যদি তাঁর প্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ তাঁর কাছে না পৌঁছুত তাহলে তিনি অবশ্যই উন্মুক্ত প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হতেন, আর তিনি হতেন নিন্দিত।    | 
| 68-50 :  কিন্তু তাঁর প্রভু তাঁকে মনোনীত করেছিলেন, ফলে তাঁকে সৎপথাবলন্বীদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।    | 
| 68-51 :  আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করেছে তারা যখন স্মারক - গ্রন্থ শোনে তখন তারা যেন তাদের চোখ দিয়ে তোমাকে আছড়ে মারবে, আর তারা বলে  -  -  ''সে তো নিশ্চয়ই এক পাগল।’’    | 
| 68-52 :  আর এটি জগদ্বাসীর জন্য স্মারক - গ্রন্থ বৈ তো নয়।    | 
